‘মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ দিন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা নিন’ এই স্লোগান বাস্তবায়নের জন্য মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অক্টোবর মাস ব্যাপি ইলিশ মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি খুবি প্রশংসনীয় এবং যুগান্তকারী পদপক্ষেপ। শুধুমাত্র এই নিষেধাজ্ঞার কারনে ইলিশ মাছের স্বাদ ভুলতে বসা আমরা সাধারন নাগরিকেরা একটু মন ভরে ইলিশ মাছ খেতে পারছি। ধন্যবাদ বাংলাদেশ সরকারকে ইলিশ রক্ষার এই পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য। মূলত এই সময়টায় প্রজনন সক্ষম ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে নদী ও মোহনায় উঠে আসে। এ সময় ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে এবং বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা। তবে আজ ৩১/১০/২০১৮ তারিখে আমি বাজারে ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ, উদ্যেশ্য, প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের অর্জন নিয়ে সংসয়ের মধ্যে পরে যাই। কারন বাজারে আমি প্রচুর ইলিশ দেখতে পেয়েছি এবং এর সিংহ ভাগ মাছই ছিল ডিমওয়ালা মাছ। অথচ এই নিষেধাজ্ঞার প্রধান উদ্যেশ্য হচ্ছে মা ইলিশেরা যাতে নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে। আমি অবাক হয়ে নিষেধজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে কয়েকজন মাছ বিক্রেতার সাথে আলাপ করলে তারা সকলেই ১৫ই অক্টোবর হতে ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত সময়টিকে উপযুক্ত বলে মতামত দেন। তাই সরকারের ‘মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ দিন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা নিন’ স্লোগানটি যাতে শতভাগ সফল হয় সেজন্য একজন উন্নয়নকামী নাগরিক হিসাবে আমি উপযুক্ত সময়ে ইলিশ মাছ ধরার উপর (যাতে মা ইলিশেরা নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে) নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
বাজারে সবই ছিল ডিমওয়ালা মাছ। |
No comments:
Post a Comment