তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

 বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও Facebook অত্যান্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দিন-দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। User friend হওয়ায় দেশের ছোট-বড় সকল শ্রেনী-পেশার নাগরিকরা এখন যোগাযোগ ও মতামত প্রকাশের জন্য Facebook-ব্যবহার করছে এবং বর্তমানে এটি দেশের সবচাইতে গুরুত্তপূর্ন ও জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কিন্ত দুঃখের বিষয় এই মাধ্যমটির উপর যথাযথ কর্তৃপক্ষের (সরকারের) পূর্ণ নিয়ন্ত্রন না থাকার কারনে বর্তমানে এই মাধ্যমটি একটি অসামাজিক, অশ্লিল ও ঝুকিপূর্ন যোগাযোগ মাধ্যমে পরিনিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে মিথ্যা, Edited ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের মাধ্যমে সর্বস্তরে বিভ্রান্তি ছরানো হচ্ছে। শুধু তাইনা, ফেসবুকে মত প্রকাশ করাই এখন বিপদ জনক। কারন কোন বিষয়ে কারো মতের সাথে অমিল হলেই অশ্ললি ভাষায় গালি খেতে হবে। মত প্রকাশের নামে বিভিন্ন Facebook user-কর্তৃক একাধিক / Fake account open / বিভিন্ন Group-এর মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ  ব্যক্তিদের অশ্লিল ভাষায় বকাবাজি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ভূয়া ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার, কুরুচিপূর্ন সমালোচনা ও পোষ্ট প্রদান জাতীর জন্য বিব্রতকর। তাছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু কিছু On line ভিত্তিক পত্র-পত্রিকা যাচাই-বাছাই ছাড়া অসত্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে মানুষকে বিপদে ফেলছে এবং কিছুই করার নেই। বর্তমানে এই মাধ্যমটি অশ্লিলতা ও মিথ্যা চর্চার সবচাইতে সহজ ও বড় মাধ্যমে পরিনিত হয়েছে যা আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভুলপথে পরিচালিত করছে এবং করবে। অথচ এই জনপ্রিয় ও আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে খুব সহজে এবং অল্প সময়ে একটি দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব। সরকারকে Facebook-এর অপব্যবহারের বিষটি এখনিই শক্তভাবে ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। তাই আমি দেশের একজন উন্নয়নকামী সাধারন নাগরিক হিসাবে Facebook/You Tube ব্যবহারের বিষয়ে User সনাক্তকরন সহ আইন প্রনয়ন ও Facebook অপব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।