হাজী শরীয়তুল্লাহ-
(১৭৮১-১৮৪০) বাংলার একজন ইসলামি সংস্কারক। তাঁর নামানুসারে শরিয়তপুর জেলার নামকরণ করা হয়েছে। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমাধীন (বর্তমানে জেলা) শ্যামাইল গ্রামের তালুকদার পরিবারে ১৭৮১ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৭৯৯ সালে তিনি মক্কা গমন করেন এবং ১৮১৮ সালে বাংলায় ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি আরবের তৎকালীন ওহাবী আন্দোলনের অনুরূপ ইসলামি সংস্কার আন্দোলন শুরু করেন। যা পরবর্তীকালে ফরায়েজী আন্দোলন নামে পরিচিতি পায়।অম্বিকাচরণ মজুমদার-
(৬জানুয়ারি ১৮৫১- ২৯ডিসেম্বর ১৯২২) বাঙালি রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং সমাজসেবী যিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসসভাপতি ছিলেন।অম্বিকাচরণ মজুমদার ১৮৫১ সালে বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানাধীন সেনদিয়া গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একাধারে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, আইনজীবি, সমাজসেবক ও গ্রন্থকার ছিলেন৷ কৃতিত্বের সাথে বি.এ পাস করার পর ১৮৭৪ সালে তিনি শিক্ষকতার পেশা গ্রহণ করেন ৷ ১৮৭৯ সাল থেকে তিনি ফরিদপুর সদরে আইন ব্যবসা শুরু করেন। স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে রাজনৈতিক জীবনে পদার্পন করেন। ১৮৮১ সালে পিপলস এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন এবং তা ভারতসভার সঙ্গে যুক্ত হয়। ১৯১৩ থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত উক্ত এসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন৷ ১৯১৬ সালে লখনউতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে তিনি সভাপতি নিযুক্ত হন৷ ১৯১৮ সালে রাজেন্দ্র কলেজ স্থাপিত হলে তিনি কলেজের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি নিযুক্ত হন এবং কলেজ পরিচালনায় ও উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেন৷ তিনি ফরিদপুর জেলা বোর্ডের সদস্য ও পৌরসভার সভাপতি ছিলেন।
তমিজউদ্দীন খান-
(১৮৮৯-১৯৬৩) রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি অবিভক্ত বাংলার একজন মন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি পাকিস্তান সংবিধান সভার প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পরিষদের স্পীকার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৮৮৯ সালে ফরিদপুরের জন্মগ্রহণ করেন। ঔপনিবেশিক শাসনের সীমিত সুযোগে বিকাশোন্মুখ মুসলমানদের দীর্ঘ দুঃসাহসিক যাত্রায় একটি স্থান অধিকার করার বিশেষ লক্ষণসমূহ তাঁর প্রথম জীবনে দেখা গিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-
(১৯২০-১৯৭৫) জাতির জনক এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি (২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১১ জানুয়ারি ১৯৭২)। শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন গোপালগঞ্জ দেওয়ানি আদালতের সেরেস্তাদার। মুজিব ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। তিনি স্থানীয় গীমাডাঙ্গা স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। চোখের সমস্যার কারণে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা চার বছর ব্যাহত হয়। ১৯৪২ সালে তিনি গোপালগঞ্জ মিশনারী স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৪ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে আই.এ এবং একই কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বি.এ পাশ করেন।
ফজলুর রহমান খান-
(১৯২৯-১৯৮২) স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে স্কাইস্ক্র্যাপার্স নির্মাণ কৌশলে বিপ্ললব সাধন করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভান্ডারীকান্দি গ্রাম। ১৯২৯ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা শহরে জন্ম। তাঁর পিতা খান বাহাদুর আবদুর রহমান খান ছিলেন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ১৯৪৪ সালে কলকাতার বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ-এ ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে তিনি কলকাতার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকার আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমান বুয়েট) শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫২ সালে ফুলব্রাইট ফেলোশিপ ও ফোর্ড ফাইন্ডেশন স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান স্কিডমুর-এ যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়।
মুন্সি আব্দুর রউফ-
(১মে ১৯৪৩ - ৮এপ্রিল ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। মুন্সি আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের ১ মে[ ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার (পূর্বে বোয়ালমারী উপজেলার অন্তর্গত) সালামতপুরে (বর্তমান নাম রউফ নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মুন্সি মেহেদি হাসান ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং মাতা মুকিদুন্নেসা। তাঁর ডাকনাম ছিলো রব। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাঁদের অন্যতম।তিনি ১৯৬৩ সালের ৮মে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি নিয়মিত পদাতিক সৈন্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বুড়িঘাট গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল তিনি মর্টারের আঘাতে শহীদ হন। তাঁকে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় একটি টিলার ওপর সমাহিত করা হয়।
(১৯২০-১৯৭৫) জাতির জনক এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি (২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১১ জানুয়ারি ১৯৭২)। শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন গোপালগঞ্জ দেওয়ানি আদালতের সেরেস্তাদার। মুজিব ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। তিনি স্থানীয় গীমাডাঙ্গা স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। চোখের সমস্যার কারণে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা চার বছর ব্যাহত হয়। ১৯৪২ সালে তিনি গোপালগঞ্জ মিশনারী স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৪ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে আই.এ এবং একই কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বি.এ পাশ করেন।
ফজলুর রহমান খান-
(১৯২৯-১৯৮২) স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে স্কাইস্ক্র্যাপার্স নির্মাণ কৌশলে বিপ্ললব সাধন করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভান্ডারীকান্দি গ্রাম। ১৯২৯ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা শহরে জন্ম। তাঁর পিতা খান বাহাদুর আবদুর রহমান খান ছিলেন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ১৯৪৪ সালে কলকাতার বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ-এ ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে তিনি কলকাতার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকার আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমান বুয়েট) শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫২ সালে ফুলব্রাইট ফেলোশিপ ও ফোর্ড ফাইন্ডেশন স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান স্কিডমুর-এ যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়।
মুন্সি আব্দুর রউফ-
(১মে ১৯৪৩ - ৮এপ্রিল ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। মুন্সি আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের ১ মে[ ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার (পূর্বে বোয়ালমারী উপজেলার অন্তর্গত) সালামতপুরে (বর্তমান নাম রউফ নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মুন্সি মেহেদি হাসান ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং মাতা মুকিদুন্নেসা। তাঁর ডাকনাম ছিলো রব। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাঁদের অন্যতম।তিনি ১৯৬৩ সালের ৮মে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি নিয়মিত পদাতিক সৈন্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বুড়িঘাট গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল তিনি মর্টারের আঘাতে শহীদ হন। তাঁকে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় একটি টিলার ওপর সমাহিত করা হয়।
No comments:
Post a Comment