পল্লী কবী জসিম উদ্দিনের বাড়ী (HOUSE OF RURAL POET JOSHIM UDDIN)-
গোবিন্দপুর, অম্বিকাপুর, ফরিদপুর।
গোবিন্দপুর, অম্বিকাপুর, ফরিদপুর।
পল্লী কবি জসিম উদ্দীনের বাড়ী |
ফরিদপুর শহরের দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে অন্যতম স্থান হলো পল্লী কবী জসীম উদ্দীন-এর বাড়ী। ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর রেলষ্টশনের উত্তরে কুমার নদীর দক্ষিণে গোবিন্দপুর গ্রামে পল্লী কবি জসীম উদদীনের বাড়ী। বাড়ীর আঙ্গিনায় কবীর পারিবারিক কবরস্থান বাধানো।এই কবরস্থানে দেখতে পাবেন কবর কবিতার সেই ডালিম গাছ।
বাড়ীর উত্তরে কবির কবর স্থান। কবর স্থানের পাশ্বেই পাকা রাস্তা ও কুমার নদী আছে। কবি ১৪-০৩-১৯৭৬ খ্রিঃ তারিখ হতে ডালিম গাছের তলে চিরতরে শায়িত রয়েছেন। কবির কবর স্থানটি পাকা উচু করণ এবং চতুর্দিকে গ্লীলের বেষ্টুনী দ্বারা নির্মিত। কবর স্থানে চিরতরে শায়িত আছেন- (১) কবির পিতা-মৌঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা (২) মাতা- আমেনা খাতুন (রাঙ্গা ছোটু) (৩) কবির পত্নী- বেগম মমতাজ জসীম উদ্দিন (৪) বড় ছেলে- কামাল আনোয়ার (হাসু) (৫) বড় ছেলের স্ত্রী- জরীনা (৬) কবির বড় ভাই- আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন মোল্লা (৭) কবির সেজো ভাই- সাঈদ ইদ্দন আহম্মদ মোল্লা (৮) কবির ছোট ভাই-প্রফেসর নুরুদ্দীন আহম্মদ (৯) কবির ছোট বোন-নূরুন নাহার (সাজু) (১০) কবির নাতিন- আসিফ (১১) কবির সেজো ভাইয়ের মেয়ে- মোসাঃ হোসনে আরা (দোলন) (১২) কবির সেজো ভাইয়ের নাতনী-মনজুরা শাহরীন (চাঁদনী) এবং (১৩) কবির শিশু ভাগিনীর কবর।
কবির বাড়ীর আঙ্গিনা লাগিয়ে বেরিবাধ সড়ক এবং সড়ক পার হলেই সিরি দিয়ে নেমে যাবেন কুমার নদের তীরে। তীরের মাঠে প্রতি বছর জসীম পল্লী মেলা উদযাপিত হয়। এই মাঠের এক প্রান্তে করা হয়েছে জসীম মঞ্চ। মেলা চলাকালীন এই মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।কবির বাড়ীর সামনে প্রবাহিত কুমার নদে এক সময় বেদের নৌকার আনাগোনা ছিল আর এই ঘাটের বেদেদের জীবনের ঘটনার উপর ভিত্তিকরে কবি সোজন বাদিয়ার ঘাট রচনা করে ছিলেন।
বাড়ীর ভিতরে ঢুকতে হলে ১০/- টাকা দিয়ে টিকিট নিতে হবে। কবীদের বাড়ী সুমুহে বর্তমানে কেউ বসবাস করেন না। ঘর সমূহে কবির বাক্তিগত ও পারিবারিক ব্যবহিত জিনিস-পত্র এবং কবির স্মৃতি বিজরিত অনেক ছবি সংরক্ষন করা হয়েছে।
বাড়ীর পিছনে সরকারী পিষ্ঠ-পোষকতায় কবির নামে যাদুঘর তৈরী করা হয়েছে। এই মহান উদ্যেগ গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার জালানি উপদেষ্ঠা জনাব তৌফিক এলাহি এবং মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মহোদয় জনাব খন্দকার মোসারফ হোসেন সাহেবেকে ফরিদপুরবাসী আজিবন মনে রাখবে।
আটরশী বিশ্ব জাকের মঞ্জিল (SPIRITUAL PLACE OF FARIDPUR)-
আটরশী, সদরপুর, ফরিদপুর।
আটরশী, সদরপুর, ফরিদপুর।
আটরশী বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ফরিদপুরের অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান। বাংলা দেশের কোনো ওরস বা মহাফিলে এতো লোকের সমাগম এবং এতোবড় ময়দান নিয়ে কোনো মাজার নেই । আটরশির বিসষয়টি সরজমিনে না এলে বোঝা যাবেনা। তবে আটরশীর জাক-জমক চিত্র দেখতে চাইলে ওরসের সময় আসতে হবে। এখানে আছে খরি সালা,গরু সালা, তরকারি সালা এবং এক সাথে শত শত চুলায় লক্ষ লক্ষ লোকের রান্না হচ্ছে এবং কোনো ঝামেলা নেই। ভক্তরা খুসি মনে সেচ্ছায় কাজ করে চলছে।
হযরত মওলানা হাশমতুল্লাহ ফরিদপুরী,
যিনি আটরশি পির নামে পরিচিত, তিনি খুব অল্প বয়সে তার আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। ১৩২২ সালের বাংলা বছরে জামালপুর জেলার পাকুরিয়া নামে একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি খুব প্রাথমিক পর্যায়ে তার মাকে হারান। তিনি দশ বছর বয়সে ইসলামিক স্টাডিজে প্রাথমিক পাঠ গ্রহণ করেন,
তিনি আরবি ও ফার্সি ভাষা অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জে গিয়েছিলেন,যেখানে তিনি মহান সন্ন্যাসী হযরত শাহ সুফী খাজা এনায়েতপুরীর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন যার পরিবারের বংশধরগণ পরে বাগদাদে ফিরে আসেন এবং পরে দিল্লিতে চলে যান। তিনি "নকশবন্দিয়া মুজাদ্দাদিয়া" ব্রাদারহুডের সুফি-চিন্তাধারাতে ছিলেন। মাওলানা হাশমতুল্লাহ দীর্ঘসময় ধরে তার আধ্যাত্মিক শিক্ষক শাহ সুফি এনায়েতপুরীর সেবা গ্রহণ করেন এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান বোঝার জন্য মতবাদ ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেন। তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির গুণে তিনি 'সত্য-স্ব'
জানতে তাঁর সংগ্রামে বিশ্বাসীকে সাহায্য করতে সক্ষম ছিলেন। হযরত হাসমাতুল্লাহ ফরিদপুরী বিশ্বাস করেন যে রহস্যময় অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে সত্য জ্ঞান অর্জন করা যায়। তাঁর সর্বাধিক রহস্যময় সাহিত্য প্রকাশ করে যে, একজন প্রকৃত মুসলিম সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র সাথে ইউনিয়ন এবং অনুশীলন করুক। তাঁর রহস্যময় শিক্ষা ব্যাপকভাবে তাঁর শিষ্যদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। মানুষের 'তজ্জালী', ঐশ্বরিক আলোকসজ্জা অর্জনের ক্ষমতা রয়েছে যার মাধ্যমে তিনি তার অন্তর্নিহিত আত্মাকে জাগিয়ে তুলতে পারেন এবং তার অনুভূতিহীন নাফস (স্ব) কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন যাতে আল্লাহর সমবেদনা অর্জন করতে পারে। এই ইসলামি শতাব্দীতে তিনি একজন সংস্কারক ও নকশাবাদ-মুজাদ্দীয়া ভ্রাতৃত্বের প্রতিষ্ঠাতা হন। প্রায় ৫০ বছর আগে তিনি ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার আটরশিতে তাঁর আতিথ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এটি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে, যা সারা দেশে বিপুলসংখ্যক অনুসারীকে আকৃষ্ট করে। তিনি ২০০১ সালে ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে যাকের মঞ্জিল কমপ্লেক্স, আটরশিতে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালীন তিনি দুই পুত্র, তিন কন্যা এবং একদল অনুসারী রেখে যান।
Atroshi Mosqu |
Gate for Orosh |
ধলার মোড়
(RIVER BANK OF PADMA)-
ডিক্রির চর,ফরিদপুর।
ফরিদপুর শহর সংলগ্ন ডিক্রির চরে ধলার মোড় অবস্থিত। ধলার মোড়কে ফরিদপুরের River Beach. বলা যেতে পারে। মূলত এলাকাটি পদ্মা নদীর ঘাট এবং এখানকার সৌন্দর্য পদ্মা নদী কেন্দ্রিক । বর্ষা কালে এই জায়গাটি খুবি আকর্ষনীয় হয়ে উঠে, কারন পদ্মার পাড় আর পানি এক হয়ে যায়। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। পদ্মার এই সৌন্দর্য সকলের মন কারবে। পদ্মা নদীতে খোলা বাতাসে নৌকায় ঘুরার মজাই আলাদা। জেলা প্রশাসন শহর রক্ষার জন্য ধলার মোরকে বোল্ডার দিয়ে বেধে দিয়েছে এবং পাড়ে বসার জন্য Calvert করে দিয়ছে। শুকনা মৌসুমে পানি কমে গেলে এপার হতে ওপারের চর দেখা যায়, এসময় নৌকায় ঘোরার উপযোগি সময়, কারন বর্ষাকালে পানিতে অনেক স্রত থাকে। সব মিলিয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে খারাপ লাগবে না। সুযোগ পেলে ঘুরে দেখতে পারেন।
নদীগবেষনাইনষ্টিটিউট (RIVER RESEARCH INSTITUTE)-
হাড়োকান্দি,ফরিদপুর।
নদী মাতৃক এ বাংলাদেশ একটি অতি জটিল পলিভরণকৃত ব-দ্বীপ। অসংখ্য বিনুনি শাখা প্রশাখা সহ গঙ্গা-পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও মেঘনা এ ৩টি অন্যতম প্রধান ও সুবৃহৎ আন্তর্জাতিক নদীমালা কর্তৃক বাহিত পলিতে গঠিত এ বাংলাদেশ। এতদবিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার ১৯৪৮ সালে ঢাকার গ্রীণরোডে প্রায় ১২ একর জমির উপর ‘‘হাইড্রলিক রিসার্চ ল্যাবরেটরী’’ নামে একটি গবেষণাগার স্থাপন করে। স্বাধীনতা উত্তরকালে ব্যাপক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৮ সালে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে এবং ‘‘হাইড্রলিক রিসার্চ ল্যাবরেটরী’’ প্রতিষ্ঠানটি ইহার সহিত একীভূত করে। পরবর্তীতে পানি সম্পদ সেক্টরে বহুমুখী গবেষণা কার্যক্রম উত্তরোত্তর বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সনের ৫৩নং আইন বলে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট কে একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্ব-শাসিত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন হতে আলাদা করে সরাসরি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করে।
১৯৮৯ সালে ফরিদপুর শহরের উপকন্ঠে ৮৬ একর জমির উপর এক মনোরম পরিবেশে নদী গবেষণা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
লাইব্রেরী: এখনেএকটি সমৃদ্ধশালী লাইব্রেরী আছে, যেখানে হাইড্রলিক্স ও জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দেশী ও বিদেশী ১৩১৩টি বই, ২৫৭৫টি জার্নাল, ৫৮৩৫টি রিপোর্ট, প্রসিডিংস সহ ৩৯১১টি প্রকাশনা আছে।
নদী মাতৃক এ বাংলাদেশ একটি অতি জটিল পলিভরণকৃত ব-দ্বীপ। অসংখ্য বিনুনি শাখা প্রশাখা সহ গঙ্গা-পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও মেঘনা এ ৩টি অন্যতম প্রধান ও সুবৃহৎ আন্তর্জাতিক নদীমালা কর্তৃক বাহিত পলিতে গঠিত এ বাংলাদেশ। এতদবিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার ১৯৪৮ সালে ঢাকার গ্রীণরোডে প্রায় ১২ একর জমির উপর ‘‘হাইড্রলিক রিসার্চ ল্যাবরেটরী’’ নামে একটি গবেষণাগার স্থাপন করে। স্বাধীনতা উত্তরকালে ব্যাপক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৮ সালে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে এবং ‘‘হাইড্রলিক রিসার্চ ল্যাবরেটরী’’ প্রতিষ্ঠানটি ইহার সহিত একীভূত করে। পরবর্তীতে পানি সম্পদ সেক্টরে বহুমুখী গবেষণা কার্যক্রম উত্তরোত্তর বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সনের ৫৩নং আইন বলে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট কে একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্ব-শাসিত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন হতে আলাদা করে সরাসরি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করে।
১৯৮৯ সালে ফরিদপুর শহরের উপকন্ঠে ৮৬ একর জমির উপর এক মনোরম পরিবেশে নদী গবেষণা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
লাইব্রেরী: এখনেএকটি সমৃদ্ধশালী লাইব্রেরী আছে, যেখানে হাইড্রলিক্স ও জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দেশী ও বিদেশী ১৩১৩টি বই, ২৫৭৫টি জার্নাল, ৫৮৩৫টি রিপোর্ট, প্রসিডিংস সহ ৩৯১১টি প্রকাশনা আছে।
Main Gate |
জগদ্বন্ধু সুন্দর-এর আশ্রম (HINDU
PILGRIMAGE)-
গোয়ালচামট,
ফরিদপুর।
মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের আবির্ভাব ২৮শে এপ্রিল ১৮৭১ বাংলা ১২৭৮ সনের ১৬ বৈশাখ রোজ শুক্রবার। মানবলীলা সংবরণ করেন ১৭ সেন্টেম্বর ১৯২১। পৈত্রিক নিবাস ফরিদপুর শহর সংলগ্ন গ্রাম গোবিন্দপুর। পিতা-শ্রী দীননাথ ন্যায়রত্ম, মাতা-শ্রীমতী বামাসুন্দরী দেবী। শ্রী শ্রী প্রভু সুন্দরের আবির্ভাব মুর্শিদাবাদ জেলার ডাহাপাড়ায়। কারণ ডাহাপাড়া পিতার কর্মস্থল ছিল। তিনি শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন প্রতিষ্ঠা করেন বাংলা আষাঢ় ১৩০৬ রথযাত্রা উৎসরে। শ্রীঅঙ্গনের এ জমি দান করেন ফরিদপুর গোয়ালচামটের শ্রীরামসুন্দর ও শ্রীরাম কুমারমুদি। শ্রীরাম শ্রীঅঙ্গন মহানাম প্রচারের কেন্দ্রে পরিনণত হয়। তাঁর দিব্যজীবন স্থায়িত্ব পঞ্চাশ বছর চার মাস বিশ দিন মাত্র। বিদ্যজীবনের প্রথম আঠারো বৎসর বিদ্যাভাব, দশ বৎসর কর্মজীবন, পরবর্তী ষোল বৎসর আট মাস গম্ভীরালীলা নিমগ্ন থাকেন। মানবলীলা সংবরণের পরবর্তী মাস বাংলা ১৩২৮ সনের ২ রা কার্তিক হতে শ্রীধাম অঙ্গনে দিবস-রজনী অখন্ড মহানাম কীর্তন অব্যাহত রয়েছে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ -হরিকথা, চন্দ্রপাত, ত্রিকাল ইত্যাদি।
মথুরাপুরের দেউল (Archeology)-
মথুরাপুর,মধুখালী,ফরিদপুর।
মথুরাপুর,মধুখালী,ফরিদপুর।
মথুরাপুর দেউলটি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নে অবস্থিত। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী বাজার থেকে মধুখালীুরাজবাড়ী ফিডার সড়কের ঠিক দেড় কিলোমিটার উত্তরে দেউলটির অবস্থান। দেউলটির পশ্চিমে রয়েছে চন্দনা নদী, দেউলটির কারু কাজ খচিত প্রায় ৯০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। এই দেউলটির গায়ে টেরাকোটার দৃষ্টিনন্দ ও শেল্পিক কাজ। দেউলটির শরীর জুড়ে রয়েছে শিলা খন্ডের ছাপচিত্র। রয়েছে মাটির ফলকের তৈরী অসংখ্য ছোট ছোট মুর্তি-যা দশীনার্থীদের কাছে আকর্ষনীয়, দেউলটির গায়ে সেঁটে দেওয়া ছোট ছোট মুর্তির মধ্যে রয়েছে বিবস্ত্র, নর-নারী, নৃত্যরত নগ্ননর-নারী, তীর ধনুক হাতে হনুমান, পেঁচা, জাতীয় পাখি, মস্তকবিহীন মানুষের প্রতিকৃতি, দ্রুত গামী ঘোড়া ইত্যাদি।
Mothurapur Deul |
ধন্যবাদ। তবে প্রাকৃতিক দৃশ্য সংযোজন করা যেতে পারে।
ReplyDelete