Thursday, October 25, 2018

বিশ্বজয়ী বাংলাদেশী ব্যক্তিত্ব, ১ম পর্ব।


যেসকল বাংলাদেশী নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও মেধা দিয়ে বিশ্বব্যাপী শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাতীকে করছেন গর্বিত, তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সন্মান, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার এই Post.

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

 

বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতীর অবিসংবাদিত নেতা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। তার সাহসী চরিত্র, স্বাধীনচেতা মনোভব, চারিত্রিক দৃড়তা এবং সাংগাঠনিক ক্ষমতা বলে তিনি হয়ে উঠেন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রধান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ই মার্চ, ১৯২০খ্রীঃ তারিখে তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (যিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন এবং মা' নাম সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ছোট বোন লাইলী; তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন যখন তার বয়স সাত বছর। নয় বছর বয়সে তথা ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জে মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ থেকে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেননি। কারণ তার চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি করাতে হয়েছিল এবং থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠতে বেশ সময় লেগেছিল। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন।[ ১৯৩৮ সনে আঠারো বছর বয়সে তার সাথে ফজিলাতুন্নেসার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা আর পুত্রদের নাম শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে তার দুই কন্যা ছাড়া এই মহান নেতা পরিবারের সকল সদস্য সহ সেনাবাহীনির একদল বিপথগামী কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন।

 

ফজলুর রহমান খান।


ফজলুর রহমান খান বাংলাদেশের বিশ্বখ্যাত স্থপতি ও তাঁকে বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ প্রকৌশলী বলা হয় তিনি পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ ভবন শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার (বর্তমানে উইওলস টাওয়ার)-এর নকশা প্রণয়ন করেন। আমাদের গর্ব এফ আর খানকে বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ প্রকৌশলী বলা হয়। ফজলুর খান ১৯২৯ সালের এপ্রিল মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার তার অনন্য কীর্তি। তিনি ১৯৭২ সনে 'ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ রেকর্ড'- ম্যান অব দি ইয়ার বিবেচিত হন এবং পাঁচবার স্থাপত্য শিল্পে সবচেয়ে বেশী অবদানকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত হবার গৌরব লাভ করেন (৬৫,৬৮,৭০,৭১,৭৯ সালে) ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সনে আমেরিকার 'নিউজ উইক' ম্যাগাজিন শিল্প স্থাপত্যের উপর প্রচ্ছদ কাহিনীতে তাঁকে মার্কিন স্থাপত্যের শীর্ষে অবস্থানকারী ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করে স্থপতি ডঃ এফ,আর,খান আন্তর্জাতিক গগনচুম্বী নগরায়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে শিকাগোর জন হ্যানকক সেন্টার, জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের হজ্ব টার্মিনাল এবং মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য মডেল অঙ্কন
১৯৯৮ সালে শিকাগো শহরের সিয়ার্স টাওয়ারের পাদদেশে অবস্থিত জ্যাকসন সড়ক পশ্চিম পার্শ্ব এবং ফ্রাঙ্কলিন সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বের সংযোগস্থলটিকে নামকরণ করা হয় "ফজলুর আর. খান ওয়ে"
এফ, আর, খান মুসলিম স্থাপত্য বিষয়ের উপর নানা ধরনের গবেষণা করেছেন ডঃ খান Tube in Tube নামে স্থাপত্য শিল্পের এক নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন যার মাধ্যমে অতি উচ্চ (কমপক্ষে একশত তলা) ভবন স্বল্প খরচে নির্মাণ সম্ভব গগনচুম্বী ভবনের উপর সাত খন্ডে প্রকাশিত একটি পুস্তকের তিনি সম্পাদনা করেন
১৯৮২ সনের ২৬শে মার্চ জেদ্দায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন মৃত্যুর পর তার দেহ আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং শিকাগোতে তাকে সমাহিত করা হয়।
এফ আর খানের প্রাপ্তি সমহু-
১-ডঃ এফ আর খান নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, লি হাই বিশ্ববিদ্যালয় সুইস ফেডারেল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন
২-১৯৯৯ সালে তাকে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।
৩-ফজলুর রহমান খানকে নিয়ে গুগল তার ৮৮ তম জন্মদিনে ডুডল প্রকাশ করে

আলী জাকো।


বিশ্বজয়ী বাংলাদেশী কিক বক্সার যিনি কিক বক্সিংয়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান আলী জাকো আমাদের গর্ব তার আসল নাম আব্দুল আলী জাকির এবং ১৯৬৯ সালের মে তিনি লন্ডনে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার নাম চমক আলী আর মায়ের নাম গুলনাহার বেগম। ছেলেকে বাঙালিয়ানা শেখাতে বাবা ছোট বেলায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সুনামগঞ্জের ছাতকের এক গ্রাম পইগাঁওয়ে। সেখানে ছয় বছর ছিলেন জাকো। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি বক্সিং শুরু করেন এবং সেটা ১৯৮৬ সাল। চার বছর পরই বিআইকেএমএ (ব্রিটিশ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কিক বক্সিং অ্যান্ড মার্শাল অ্যাসোসিয়েশন) লাইট কিক বক্সিং শিরোপা জিতার মাধ্যমে তার অগ্রযাত্রা শুরু হয়।
ইউরোপীয় শিরোপা জাকো জেতেন ১৯৯৬ সালে। বিশ্ব লাইটওয়েট কিক বক্সিংয়ের খেতাবও জেতেন ওই বছরই ফ্রেডরিক পিয়েরেকে হারিয়ে। তারপর ১৯৯৯ সালে ওয়ার্ল্ড ইন্টার কন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। ২০০২ সালে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন।
তিনি ভাল গানও গাইতে পারেন। তিনি ২০১৬ সালে ঠিক করেন গান গাইবেন। ওই বছরের নভেম্বরেইগিভ মাই লাভ অ্যা ব্র্যান্ড নিউ নেমগানটি বাজারে ছাড়েন। জমকালো প্রকাশনা অনুষ্ঠান করেন লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে। জাকো নিজেই গানের কথা লিখেছেন। গানটির সংগীতায়োজনে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়ন্ত পাঠক। জাকোর নিজের প্রডাকশন হাউস জিএ মিউজিক থেকেই গানটির অডিও ভিডিও বাজারে আসে।
আলী জাকোর আন্তর্জাতিক অর্জন সমূহ-
5 x B.I.K.M.A British FC Championship in Dec 90
1 x W.M.O European FC Championship Feb 96
2 x W.K.O World FC Championship May 96, 97
1 x WKN World FC Inter-Continental Championship 3rd Oct 99
3 x W.K.N World FC Championship Jun 99, 20, 02


জাওয়েদ করিম।



You Tube বর্তমানে পৃথীবির অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং website.   কিন্তু আপনি কি জানেন এই ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মটির প্রধান প্রতিষ্ঠাতা একজন বাংলাদেশি? হয়তো জানেন, আর না জানলে এখন জেনে নিন আমাদের গর্ব এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, জার্মানিতে জন্ম নেয়া মেধাবী তরুণের নাম জাওয়েদ করিম। ২০০৪ সালে জাওয়েদ করিম তার বন্ধু অ্যামেরিকান নাগরিক Chad Meredith Hurley এবং চাইনিজ নাগরিক Steven Shih Chen (You Tube- এর সহঃ প্রথিষ্ঠাতা) এর সঙ্গে একটি ডিনার পার্টিতে জয়েন করেন। পার্টিতে তারা যেসব মজা করেন সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে রাখেন বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্যে। কিন্তু শেয়ার করতে গিয়েই বিপাকে পড়েন তারা। কারণ, এত বড় ফাইল মোবাইলে শেয়ার করা সম্ভব ছিল না। তখনই তাদের মাথায় একটি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটের আইডিয়া চলে আসে।
ইউটিউবে শেয়ার করা প্রথম ভিডিওটিও ছিল জাওয়েদ করিমের। ইউটিউব অনলাইনে লাইভ হওয়ার কিছুদিন আগে তিনি একটি চিডিয়াখানায় বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং ১৮সেকেন্ডের একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন। ইউটিউব লাইভ হওয়ার পর ওই ক্লিপটিই তিনি ইউটিউবে আপলোড করেদেন। জাওয়েদ করিমের বাবার নাম নাইমুল করিম, তিনি একজন গবেষক হিসেবে জার্মানিতে কর্মরত ছিলেন। কর্মসূত্রে জার্মান নাগরিক প্রাণরসায়ন বিজ্ঞানী ক্রিস্টিনের সঙ্গে তার ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর তাদের কোল জুড়ে ১৯৭৯ সালে পৃথিবীতে আসেন জাওয়েদ করিম। ১৯৯২ সালে জাওয়েদ করিম বাবা মায়ের সঙ্গে আমেরিকায় চলে আসেন। আমেরিকার Saint Paul Central High School পড়াশোনাকালীণ সময়েই তিনি প্রযুক্তির প্রতি আসক্ত হন। যার ফলে, পরবর্তীতে তিনি আমেরিকার University of Illinois কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হন এবং ডাবল গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পড়াশোনা শেষ করেই তিনি পেপ্যালে জয়েন করেন এবং সেখানেই পরিচয় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ইউটিউবের অন্য দুইজন সহ: প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে।


সাকিব আল-হাসান।



সাকিব আল-হাসান প্রথম বাংলাদেশী যিনি ২২ জানুয়ারী, ২০০৯ খ্রীঃ তারিখে আইসিসি' ওডিআই অল-রাঊন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে নম্বর হয়ে বিশ্বসেরা ক্রিকেটার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনিই পৃথিবীর একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে টেস্ট, ওডিআই টি২০ প্রত্যেক ক্রিকেট সংস্করনে এক নম্বর অল-রাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ২০০৯-২০১০ সালে বাংলাদেশ টিমের অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা এই ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেকবার ম্যান অফ দ্য সিরিজ, ম্যাচ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। দেশ বিদেশের মাঠে রয়েছে তার অসংখ রেকর্ড।  সাকিব আল হাসান ২৪ মার্চ ১৯৮৭ খ্রীঃ তারিখে মাগুরা জেলায় জন্ম গ্রহন করেন। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক। তিনি বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। সাকিব ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁর খেলার মান আর ধারাবাহিকতা তাঁকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়, হয়েছেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একজন খেলোয়াড়-"দ্য ওয়ান ম্যান আর্মি" সাকিব প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ,০০০ করার গৌরব অর্জন করেন। তিনি টি ২০তে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ রান পূর্ণ করেন এছাড়া দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে টি ২০তে ১০০০ রান ৫০ উইকেট লাভ করেন

সাকিব আল হাছানের কৃতিত্ব সমূহ-

টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই দেশের মাটিতে ২০০০ রান এবং ১০০ উইকেট নেওয়ার অনন্য কীর্তির অধিকারী সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই অনন্য রেকর্ড গড়েন। সাকিবের আগে এই কীর্তি ছিল সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের

সাকিব ২০১১ সালের পর নিজের ৩য় সেঞ্চুরি করেন সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বৃহস্পতিবার প্রথম ঘন্টাতেই ত্রয়োদশবারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেন সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের চতুর্দশ পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির মাধ্যমে সাকিব সাকলাইন মুশতাক মাইকেল হোল্ডিংয়ের অর্জনকে পিছনে রেখে দেন। বামহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক টেস্টে দুইবার পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির পর সাকিবও তালিকায় যুক্ত হন। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রান /৮০ পান। পরবর্তীতে /৪৪ পান দ্বিতীয় ইনিংসে। তার কৃতিত্বে জিম্বাবুয়ে ১৬২ রানে পরাজিত হয় - ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। নাতসাই মুশাঙউইকে আউট করে সাকিব তার দশম উইকেট পূর্ণ করেন। সাকিবের সেঞ্চুরি দশ উইকেট প্রাপ্তির পূর্বে ১৯৮৩ সালে ফয়সালাবাদে ভারতের বিপক্ষে ইমরান খান সর্বশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। একমাত্র অন্য খেলোয়াড় ইয়ান বোথাম তালিকায় রয়েছেন। তন্মধ্যে সাকিব প্রথম স্পিনার হিসেবে। ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ওয়াসিম আকরাম তিন টেস্টের সিরিজে সেঞ্চুরিসহ তিনবার পাঁচ উইকেট পান। তারপরই সাকিবের অর্জন। ধারাবাহিকভাবে পাঁচ উইকেট লাভের দিক দিয়ে সাকিবের অবস্থান পঞ্চম। তার সম্মুখে রয়েছেন সিডনি বার্নস, ক্ল্যারি গ্রিমেট, মুত্তিয়া মুরালিধরন, রিচার্ড হ্যাডলি তবে হার্বার্ট সাটক্লিফ করেছেন মাত্র ১২ ইনিংসে।


চলবে-

No comments:

Post a Comment