চরকমলাপুর জামে মসজিদ, চরকমলাপুর,ফরিদপুর।
ফরিদপুর চরকমলাপুর জামে
মসজিদ
চরকমলাপুর ঘাটে
অবস্থিত ফরিদপুর শহরের
অন্নতম
সুন্দর
একটি
মসজিদ।
এই
মসজিদটির প্রধান
বৈশিষ্ট হলো
মসজিদটি প্রায়
৪/৫ বিঘা জমি
নিয়ে
অবস্থিত ভেতরে
মনোরম
প্রাকৃতিক পরিবেশ
বিরাজমান যা
মসজিদের সীমানায় প্রবেশ
না
করলে
বোঝা
যাবে
না।
এই
মসজিদের মাঠে
ঈদে্র
নামাজ
অনুষ্ঠিত হয়।
২০০১ সালে বজলুর রশিদ খান তাবু এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং সকল জমি সহ মসজিদটি জোবায়দা-রশী্দ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন-এর নামে ওয়াকফ করে যান।
হযরত আবু বক্কার সিদ্দিক (রাঃ) জামে মসজিদ, চরকমলাপুর,ফরিদপুর।
হযরত আবু বক্কার সিদ্দিক (রাঃ) জামে মসজিদ চরকমলাপুর তথা Greater Faridpurer- এর মধ্যে নবনির্মিত মনোমুগ্ধকর মসজিদ এবং এটি চরকমলাপুরে অবস্থিত। দর্শনীয় এই এই মসজিদটির পরিচালনা ব্যয় মিটানোর বিষয়টি মাথায় রেখে মসজিদের পাশেই বহুতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ চলছে। মসিজদটির প্রতিটি শিল্প কর্মে রয়েছ আধুনিকতার ছোয়া, শৈল্পিক কারু কাজ। এটি একটি সুউচ্চ ব্যয়-বহুল মসজিদ (৬তলা) এবং নির্মানে প্রচুর মারবেল পাথরের ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের নিচ তলায় মুর্দার গোসোলের জন্য সুব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৫ সালে এই মসজিদের কাজ শুরু হয় এবং ২০১৬ তে কাজ শেষ হয়। জনাব তানু এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।
জনশ্রুতি মতে, রাজশাহীর পীর আউলিয়া হযরত শাহ মকদুম (র:) এরভাবশিষ্য হযরহর শাহ ফরিদ (র:) ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে পদ্মানদী থেকে কুমিরের পীঠে চড়ে চারঘাট হয়ে বড়াল নদী বেয়ে সারকেল সারি ঘাটে (বর্তমান পারফরিদপুর) এসে থামেন।জায়গাটি তখন গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণছিল। হযরত শাহ ফরিদ (র:) সেখানে আস্তানা গাঁড়েন তাঁর আল্লাহ ভক্তি এবং বিভিন্ন কেরামতি দেখে এলাকায় তাঁর অনেক শিষ্য এবং ভক্তবৃন্দ জুটেযায় এই শাহ ফরিদ (র:) এর নামানুসারের এ এলাকার নামকরণ হয়েছে ফরিদপুর।বর্তমান ফরিদপুর থানা সোজা বড়াল নদীর উত্তর পাড়ে পারফরিদপুর গ্রামেহযরত শাহ ফরিদ (র:) এর মাজার ও একটি প্রাচীণ মসজিদ রয়েছে জানা যায়, হযরত শাহ ফরিদ (র:)এর মৃত্যুর পর ৫/৬ বছর পর্যন্ত কিমিরটি বছরে ২/১ বার বর্তমান মাজার সোজা বড়ালনদীর ঘাটে ভেসে উঠে কিছুক্ষণ থেকে চলে যেত। কিন্তু একদিন এক দুষ্টু শিকারি কুমিরটি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁরলে সেই থেকে কুমিরটিকে আর দেখা যায়নি।।
কিভাবে যাওয়া যায়:
আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মসজিদ,আটরশি,সদরপু্র, ফরিদপুর।
হযরত মওলানা হাশমতুল্লাহ ফরিদপুরী, যিনি আটরশি পির নামে পরিচিত, তিনি খুব অল্প বয়সে তার আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। ১৩২২ সালের বাঙালি বছরে জামালপুর জেলার পাকুরিয়া নামে একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি খুব প্রাথমিক পর্যায়ে তার মা হারান। তিনি দশ বছর বয়সে ইসলামিক স্টাডিজে প্রাথমিক পাঠ গ্রহণ করেন, তিনি আরবি ও ফার্সি ভাষা অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি মহান সন্ন্যাসী হযরত শাহ সুফী খাজা এনায়েতপুরীর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন যার পরিবারের বংশধরগণ পরে বাগদাদে ফিরে আসেন এবং পরে দিল্লিতে চলে যান। তিনি "নকশবন্দিয়া মুজাদ্দাদিয়া" ব্রাদারহুডের সুফি-চিন্তাধারাতে ছিলেন। মাওলানা হাশমতুল্লাহ দীর্ঘসময় ধরে তার আধ্যাত্মিক শিক্ষক শাহ সুফি এনায়েতপুরে সেবা গ্রহণ করেন এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান বোঝার জন্য মতবাদ ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেন। তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির গুণে তিনি 'সত্য-স্ব' জানতে তাঁর সংগ্রামে বিশ্বাসীকে সাহায্য করতে সক্ষম ছিলেন। হযরত হাসমাতুল্লাহ ফরিদপুরে বিশ্বাস করেন যে রহস্যময় অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে সত্য জ্ঞান অর্জন করা যায়। তাঁর সর্বাধিক রহস্যময় সাহিত্য প্রকাশ করে যে, একজন প্রকৃত মুসলিম সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র সাথে ইউনিয়ন এবং অনুশীলন করুক। তাঁর রহস্যময় শিক্ষা ব্যাপকভাবে তাঁর শিষ্যদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। মানুষের 'তজ্জালী',
ঐশ্বরিক আলোকসজ্জা অর্জনের ক্ষমতা রয়েছে যার মাধ্যমে তিনি তার অন্তর্নিহিত আত্মাকে জাগিয়ে তুলতে পারেন এবং তার অনুভূতিহীন নাফস (স্ব ) কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন যাতে আল্লাহর সমবেদনা অর্জন করতে পারে। এই ইসলামি শতাব্দীতে তিনি একজন সংস্কারক ও নকশাবাদ-মুজাদ্দীয়া ভ্রাতৃত্বের প্রতিষ্ঠাতা হন। প্রায় ৫০ বছর আগে তিনি ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার আটরশিতে তাঁর আতিথ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এটি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে, যা সারা দেশে বিপুলসংখ্যক অনুসারীকে আকৃষ্ট করে। তিনি ২০০১ সালে ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এবং জাকের মঞ্জিল কমপ্লেক্স, আটরোশিতে দাফন করা হয়। তাঁর মৃত্যুর সময় তিনি সারা দেশে দুই পুত্র, তিন কন্যা এবং একদল অনুসারী রেখে জান।
মুসলিম মিসন মসজিদ, ফরিদপুর-
পাতরাইল শাহী মসজিদ, ভাঙ্গা, ফরিদপুর-
পাতরাইল মসজিদ
নামে
পরিচিত
এই
মসজিদটির অন্য
আরও
দুটি
নাম
আছে।
এগুলো
হলঃ
দীঘিরপাড় মসজিদ
এবং
মজলিশ
আউলিয়া
মসজিদ।
মসজিদের নামগুলো মনে
রাখলে
আপনার
মসজিদটিকে খুঁজে
পেতে
সুবিধা
হবে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের অধিগ্রহনের পর
তিন
গম্বুজ
বিশিষ্ট এই
মসজিদটি রক্ষার
জন্য
বেশকিছু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ
করে
সরকার।
সম্ভবত
১৩৯৩
থেকে
১৪১০
সালের
মধ্যে
মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। তবে,
ইতিহাসবিদদের ধারনা
সুলতান
আজম
শাহর
শাসনামলে মসজিদটি নির্মিত হয়।
মসজিদের দক্ষিনে রয়েছে
‘মজলিশ
আউলিয়া
খান’
যার
নামে
মসজিদের নামকরণ
করা
হয়েছে।
মসজিদের কাছেই
‘মাস্তান দরবেশ
নাজিমউদ্দিন দেওয়ান’
এবং
‘ফকির
সালিমউদ্দিন দেওয়ানের মাজার
রয়েছে।
মসজিদের কাছে
পানির
সংকট
নিরসনের জন্য
একটি
বিশাল
দিঘীও
খনন
করা
হয়েছিল
আর
একারনেই স্থানীয়রা মসজিদটিকে ‘দীঘিরপাড় জামে
মসজিদ’
নামে
বলে
থাকে।
সাতৈর মাহী মসজিদ,সাতৈর,বোয়ালমারি-
আলা-উদ্দিন হুসাইন শাহ (১৪৯৪-১৫১৯) ছিলেন একজন স্বাধীন বাংলার সুলতান। তখন এই সাতৈর গ্রামে বহু আওলিয়ার বসবাস ছিলেন। তাদের মধ্যে হযরত শাহ সুফী শায়েখ শাহ ছতুরী (রাঃ) এর মুরিদ ছিলেন আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সেই সময়ে নির্মিত হয়। সাতৈর মাহী মসজিদের পাশ ঘেঁষেই গেছে ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাংক রোড বা শের শাহ সড়ক। কেউ কেউ মনে করেন সাতৈর শাহ মসজিদ শের শাহের (১৪৮৬ - ২২শে মে, ১৫৪৫) আমলের কীর্তি। ধারণা করা হয় যে, আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ তাঁর জনৈক পীরের সম্মানে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে মসজিদটি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত হয়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আবিষ্কৃত হওয়ার পর মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
গেরদা
মসজিদ, গেরদা, ফরিদপুর।
ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ পূর্ব কোণে শহরে থেকে তিন মাইল দূরবর্তী এক নিভৃত গ্রাম 'গেরদা"। পূর্বে কসবায়ে গেরদা নামে অভিহিত ছিলো। ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্য হযরত শাহ আলী বোগদাদি (র:) ভগ্নিপতি,আত্তিও সজন,সমেত ফরিদপুরের ঢোল সমুদ্র তীরবর্তী জংগলে আগ ম ন করেন।অনেকের হয়তো জানা নেই এই গেরদা মসজিদে শত বছর ধরে সংরক্ষিত আছে ৫টি অসাধারণ নিদর্শন।হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ:) এর খিলফা বা জুব্বা,হ য রত শাহ্ আলি বাগদাদি (র:) এর জায়নামাজ ও পাগরি,মাছের দাতের তসবিহ,চন্দন কাঠের খাবার খাওয়ার বর্তন ও অন্যান্য বুজুর্গদের ব্যবহ্রত জিনিস। এগুলো বছরে ৫বার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।অনেক দুর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থী নিদর্শন গুলি দেখতে আসে। ( ঈদ মিলাদুন্নবী,শবে মেরাজ,ফাতেহা ইয়াজদাহম শরিফ, শবে মেরাজ,ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা) এই বিশেষ দিনে অত্যন্ত তামিজের সাথে নিদর্শন গুলি প্রদর্শন করানো
No comments:
Post a Comment