ফরিদপুর শহরের অনাথের মোড় সংলগ্ন ঐতিয্যবাহী ঝিলটিকে সংস্কার করা হোক। কালের সাক্ষী এই ঝিলের নামানুসারে শহরের ঝিলটুলি এলাকার নাম করন হলেও অনেক আগেই এটি কতৃপক্ষের অবহেলায় এবং সংস্কারের অভাবে মজা পুকুরে পরিনিত হয়েছে। অথচ কতৃপক্ষ/শহর উন্নয়ন পরীকল্পনাকারী'রা যদি এই ঝিলটির দিকে একটু নজর দেন তাহলে এটি হতে পারে শহরের সবচাইতে আকর্ষনীয় বিনোদোন কেন্দ্র। ঝিলটিকে সংস্কার করে চার-পাশ বাধাই করে কালভার্ট বসিয়ে দিলে ঝিলটি হতেপারে শহরে অন্যতম দর্শনীয় স্থান। শুধু তাই নয়, ফরিদপুর শহরকে আধুনিকতার
VOICE OF FARIDPUR
Saturday, July 27, 2019
Wednesday, October 31, 2018
ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে উপযুক্ত ও সঠিক সময় নির্বাচনের বিষয়ে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
‘মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ দিন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা নিন’ এই স্লোগান বাস্তবায়নের জন্য মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অক্টোবর মাস ব্যাপি ইলিশ মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি খুবি প্রশংসনীয় এবং যুগান্তকারী পদপক্ষেপ। শুধুমাত্র এই নিষেধাজ্ঞার কারনে ইলিশ মাছের স্বাদ ভুলতে বসা আমরা সাধারন নাগরিকেরা একটু মন ভরে ইলিশ মাছ খেতে পারছি। ধন্যবাদ বাংলাদেশ সরকারকে ইলিশ রক্ষার এই পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য। মূলত এই সময়টায় প্রজনন সক্ষম ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে নদী ও মোহনায় উঠে আসে। এ সময় ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে এবং বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা। তবে আজ ৩১/১০/২০১৮ তারিখে আমি বাজারে ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ, উদ্যেশ্য, প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের অর্জন নিয়ে সংসয়ের মধ্যে পরে যাই। কারন বাজারে আমি প্রচুর ইলিশ দেখতে পেয়েছি এবং এর সিংহ ভাগ মাছই ছিল ডিমওয়ালা মাছ। অথচ এই নিষেধাজ্ঞার প্রধান উদ্যেশ্য হচ্ছে মা ইলিশেরা যাতে নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে। আমি অবাক হয়ে নিষেধজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে কয়েকজন মাছ বিক্রেতার সাথে আলাপ করলে তারা সকলেই ১৫ই অক্টোবর হতে ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত সময়টিকে উপযুক্ত বলে মতামত দেন। তাই সরকারের ‘মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ দিন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা নিন’ স্লোগানটি যাতে শতভাগ সফল হয় সেজন্য একজন উন্নয়নকামী নাগরিক হিসাবে আমি উপযুক্ত সময়ে ইলিশ মাছ ধরার উপর (যাতে মা ইলিশেরা নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে) নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
বাজারে সবই ছিল ডিমওয়ালা মাছ। |
Sunday, October 28, 2018
বিশ্বজয়ী বাংলাদেশী ব্যক্তিত্ব, ২য় পর্ব।
যেসকল বাংলাদেশী
নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও মেধা দিয়ে বিশ্বব্যাপী শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের
মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাতীকে করছেন গর্বিত, তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সন্মান, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা
জানিয়ে আমার এই Post.
ব্রজেন দাস।
আমাদের গর্ব ব্রজেন দাস সর্বমোট চার'বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন: ১৯৫৮,
১৯৫৯,
১৯৬০,
১৯৬১
সালে। ১৯৬১ সালে ১০ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন। ব্রজেন দাস ৯ই ডিসেম্বর ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে মুন্সিগঞ্জ জেলার
ঐতিহাসিক বিক্রমপুর এলাকার কুচিয়ামোড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে ব্রজেন ঢাকার
কে
এল জুবিলি হাই স্কুল থেকে ১৯৪৬
সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি কলকাতার
বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও বিএ পাস করেন। ছেলেবেলা থেকেই সাঁতারে তাঁর দারুণ উৎসাহ ছিল। সাঁতারে
হাতে খড়ি হয় ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে
সাঁতার কেটে। ব্রজেন দাস ১৯৫৮ সালের জুলাই মাসে ইতালির
কাপ্রি দ্বীপ হতে নাপোলি পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার দূর পাল্লার সাঁতারে ৩য় স্থান অর্জন করেন। একই বছর আগস্ট মাসে তিনি ইংল্যান্ডে বিলি বাটলিনের চ্যানেল ক্রসিং প্রতিযোগিতায় ২৩টি দেশের ৩৯ জন সাঁতারুকে হারিয়ে প্রথম স্থান লাভ করেন। পরের বছর, অর্থাৎ
১৯৫৮ সালের আগস্ট মাসে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড পর্যন্ত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। সেপ্টেম্বরে তিনি ইংলিশ চ্যানেলকে ইংল্যান্ড হতে ফ্রান্সে সাঁতার কেটে পার হন। ১৯৬০ ও ১৯৬১ সালের আগস্টে তিনি ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড সাঁতার কাটেন।
ব্রজেন
দাসের অর্জন
সমূহ-
অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস সর্বপ্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার
বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক। তিনি ক্ষুদ্রঋণ
ধারণার প্রবর্তক। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের
প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক
যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার
লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার
সহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এবং চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করেন। তাঁর পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। তাঁর প্রথম বিদ্যালয় মহাজন ফকিরের স্কুল। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগ দেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।
মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনী ডঃ আফরোজী ইউনুস। ব্যক্তিগত জীবনে মুহাম্মদ ইউনূস দুই কন্যার পিতা। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব।
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক
প্রতিষ্ঠা করেন গরিব বাংলাদেশীদের মধ্যে ঋণ দেবার জন্য। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক "সংহতি
দল" পদ্ধতি
ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যবৃন্দ একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে গরিবকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংক অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সাথে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস
খামাড় এবং সেচ ঋণ প্রকল্প সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যাবস্থা। গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমন কি যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশসমূহকে গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্ভুদ্ধ হয়।
মুহাম্মদ
ইউনূসের প্রকাশিত
গ্রন্থ সমূহ-
Three Farmers of Jobra; ডিপার্টমেন্টস
অফ ইকোনোমিক্স,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়;
(১৯৭৪)
Planning in Bangladesh: Format, Technique, and Priority, and
Other Essays; Rural Studies Project, ডিপার্টমেন্টস
অফ ইকোনোমিক্স,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়;
(১৯৭৬)
Jorimon and Others: Faces of Poverty (co-authors: Saiyada
Manajurula Isalama, Arifa Rahman); গ্রামীণ
ব্যাংক; (১৯৯১)
Grameen Bank, as I see it; গ্রামীণ
ব্যাংক; (১৯৯৪)
Banker to the Poor: Micro-Lending and the Battle against
World Poverty; Public Affairs; (২০০৩)
Creating a World without Poverty: Social Business and the
Future of Capitalism; Public Affairs; (২০০৮)
Building Social Business: The New Kind of Capitalism that
Serves Humanity's Most Pressing Needs; Public Affairs; (২০১০)
সম্মাননা-
ডঃ ইউনুস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ
একজন বাংলাদেশী
সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারী সংগঠন ব্র্যাকের
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার,
জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার
মাহবুবুল হক পুরস্কার
এবং গেটস ফাউন্ডেশনের
বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইটহুডে ভূষিত
করে।
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬
সালের ২৭ এপ্রিল
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন ধনাঢ্য ভূস্বামী। তাঁর মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তাঁর পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের অনেক বড় জমিদার। ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের সবাই ছিলেন শিক্ষিত। দাদারা ছিলেন চার ভাই। তাঁরা সকলেই কলকাতা গিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ও পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা
করেন। পরবর্তীতে তিনি শেল অয়েল কোম্পানীতে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন।
১৯৭০ সালে ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়ে আক্রান্ত দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে ত্রাণ কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্র্যাকের জন্ম। যুদ্ধের পর সিলেটেরশাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসরত লোকজনকে দেখতে গেলেন। সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি শাল্লায় কাজ করবেন। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সবহারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে শুরু করলেন 'Bangladesh Rehabilitation Assistance Committee' সংক্ষেপে যা 'BRAC' নামে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে সাময়িক ত্রাণকার্যক্রমের গণ্ডি পেরিয়ে ব্র্যাক যখন উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ শুরু করে, তখন 'BRAC'-এই শব্দসংক্ষেপটির যে ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়, সেটি হল 'Bangladesh Rural Advancement Committee'। বর্তমানে ব্যাখ্যামূলক কোনো শব্দসমষ্টির অপেক্ষা না রেখে এই সংস্থা শুধুই 'BRAC' নামে পরিচিত। কবি বেগম সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কাজী ফজলুর রহমান, আকবর কবীর, ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, এস আর হোসেন এবং ফজলে হাসান আবেদ, এই সাতজনকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ড গঠিত হল। বোর্ড ফজলে হাসান আবেদকে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলেন ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারম্যান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারপারসন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।
১৯৭০ সালে ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়ে আক্রান্ত দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে ত্রাণ কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্র্যাকের জন্ম। যুদ্ধের পর সিলেটেরশাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসরত লোকজনকে দেখতে গেলেন। সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি শাল্লায় কাজ করবেন। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সবহারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে শুরু করলেন 'Bangladesh Rehabilitation Assistance Committee' সংক্ষেপে যা 'BRAC' নামে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে সাময়িক ত্রাণকার্যক্রমের গণ্ডি পেরিয়ে ব্র্যাক যখন উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ শুরু করে, তখন 'BRAC'-এই শব্দসংক্ষেপটির যে ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়, সেটি হল 'Bangladesh Rural Advancement Committee'। বর্তমানে ব্যাখ্যামূলক কোনো শব্দসমষ্টির অপেক্ষা না রেখে এই সংস্থা শুধুই 'BRAC' নামে পরিচিত। কবি বেগম সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কাজী ফজলুর রহমান, আকবর কবীর, ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, এস আর হোসেন এবং ফজলে হাসান আবেদ, এই সাতজনকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ড গঠিত হল। বোর্ড ফজলে হাসান আবেদকে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলেন ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারম্যান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারপারসন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।
সন্মাননা-
- র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, সামাজিক নেতৃত্বের জন্য , ১৯৮০।
- ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫)
- এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০)
- ইউনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার (১৯৯২)
- সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার (২০০১)। "দারিদ্র বিমোচন ও দরিদ্র মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য।
- শোয়াব ফাউন্ডেশন "সামাজিক উদ্যোক্তা" পুরস্কার (২০০২)
- গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩)
- জাতীয় আইসিএবি (২০০৪)
- জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার (২০০৪), সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য।[৫]
- গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার (২০০৪)
- হেনরি আর. ক্রাভিস পুরস্কার (২০০৭)
- প্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০০৭)
- পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৭)
- ডেভিড রকফেলার পুরস্কার (২০০৮)
- দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে "নাইটহুডে" ভূষিত।
- এন্ট্রাপ্রেনিওর ফর দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার (২০০৯)
- ওয়াইজ পুরস্কার (২০১১) [৯]
- সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার (২০১৩)
- লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (২০১৪)
- বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫)
- বাংলাদেশের একমাত্র নাইটহুড উপাধি প্রাপ্ত ব্যাক্তি তিনি।
মুসা ইব্রাহীম।
মুসা ইব্রাহীম ২৩মে ২০১০ খ্রীষ্টাব্দ তারিখ ভোর ৫টা ৫মিনিটে একজন বাংলাদেশী
পর্বতারোহী এবং সাংবাদিক, যিনি প্রথম মাউন্ট
এভারেস্ট জয় করেছেন। শুধু তাইনয় তিনি ১৩
সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারো'র চূড়া জয় করেন। তার সঙ্গী ছিলেন নিয়াজ মোরশেদ পাটওয়ারী ও এমএ সাত্তার। তবে শুধু মুসা ও নিয়াজ ১৯ হাজার ৩৪০ ফুট উচ্চতার কিলিমা ঞ্জারো পর্বতের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন। ১৩জুন ২০১৭, মুসা এবং দু'জন ভারতীয় পর্বতারোহী ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশে কার্স্টেনজ
পিরামিড পর্বত শৃঙ্গ জয় করে নামার পথে বেজ ক্যাম্পে আটকা পড়েন। পরে হেলিকপ্টার তাদেরকে উদ্ধার করে ইন্দোনেশিয়ার টিমিকা বিমানবন্দরে নিয়ে আসে।
মুসা ইব্রাহীম ১৯৭৯ সালে লালমনিরহাট জেলায় জন্ম গ্রহন করেন। মুসা ইব্রাহীম নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশ নামক পর্বতারোহন ক্লাবের মহাসচিব এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে জ্যেষ্ঠ সংবাদদাতা হিসেবে এবং বাংলাদেশী ইংরেজি দৈনিক দ্য
ডেইলি স্টারের সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পর্বত আরোহণ ও অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ক নানা আয়োজনে তরুণ তরুণীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ২০১১ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেনএভারেস্ট একাডেমী। পদে পদে মৃত্যুঝুঁকি আর দুর্গম বরফে ঢাকা পথ পেরিয়ে বিশাল কাণ্ডটি ঘটানো সেই তরুণ এবার স্থান পেয়েছেন পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যবইয়ে। ২০১৩ সালের নতুন বাংলা বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে তাঁর এভারেস্ট বিজয়ের কাহিনি। উঠে এসেছে তাঁর ছোটবেলাও।
নিশাত মজুমদার।
নিশাত মজুমদার যিনি প্রথম বাংলাদেশী
নারী
হিসেবে ২০১২
সালের ১৯ মে শনিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করে বিশ্বের বুকে নাম লিখান। নিশাত মজুমদারের জন্ম ১৯৮১
সালে লক্ষ্মীপুরে। তার বাবার নাম আবদুল মান্নান মজুমদার। তিনি ব্যবসায়ী। তার মার নাম আশুরা মজুমদার। এ দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে নিশাত মজুমদার দ্বিতীয়। তিনি ১৯৯৭
সালে ঢাকার
ফার্মগেটের বটমূলী হোম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৯৯
সালে শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। নিশাত মজুমদার ঢাকা ওয়াসায়
হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
Subscribe to:
Posts (Atom)